পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

অবোধ চর্ব্বিতচর্ব্বনে পর্য্যবসিত হইয়া চলিল। অতীতের সজীব বুদ্ধি যে সজীব রূপ সব সৃষ্টি করিয়াছিল, তাহারই ভগ্নাবশেষের মধ্যে ভারতের জীবনমন নিথর জড়ত্ব পাইয়া বসিল। শাস্ত্রের প্রমাণের যে মর্ম্ম, যে অর্থ, তাহা লোপ পাইল, সেখানে দেখা দিল শুষ্ক বিধিনিষেধের অকাট্য আদেশ। আদেশের পিছনে যেখানে প্রাণের অভাব, সেখানে আদেশ হইবে যে অত্যাচার তাহা ত স্বাভাবিক। পরিশেষে, আধ্যাত্মিকতাও কায়ক্লেশে বাঁচিয়া থাকিল বটে, কিন্তু তাহাতে রহিল না প্রাচীন যুগের সে বৃহৎ, সে উজ্জ্বল জ্ঞানতেজ; এখানে ওখানে সময়ে সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে তাহার তীক্ষ্ণ তীব্রধারা ফুটিয়া বাহির হইতে লাগিল বটে, কিন্তু তাহাতে পাই না পুরাতনের সে বিশাল সমন্বয়ের ভাব; তাহাতে দেখা দিল একদেশদর্শিতা, অন্য সকল সত্যকে ঠেলিয়া ফেলিয়া একটিমাত্র সত্যকেই একান্তভাবে আঁকড়িয়া ধরিয়া থাকিবার অন্ধ প্রয়াস।

 এই যে চারিদিকে ক্ষয় ধরিল, তাহার ফলে ভারত তাহার সমস্ত শিক্ষাসাধনার লক্ষ্যটি হইতে এক রকম ভ্রষ্ট হইয়া পড়িল। বাহ্যজীবনের, মনোবুদ্ধির ক্ষেত্রকে পর্য্যন্ত পূর্ণ আধ্যাত্মিক রূপে রূপান্তরিত করিয়া ভারত

৩৬