পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

আমাদের কর্তব্যবোধ, আমাদের সৌন্দর্য্যবোধ—সবই এই দুই অনন্তের মধ্যে মধ্যস্থের বা দর্পণের কাজ করিতেছে। পাশ্চাত্য জীবনকেই অতিকায় করিয়া দেখিতে শিখিয়াছে, কিন্তু এই জীবনকে অনুপ্রাণিত শ্রীমণ্ডিত করিবার জন্য উপরের শক্তির আবাহন সে খুব অল্পই করিয়াছে। ভারতের পথ সম্পূর্ণ বিপরীত। ভারত চাহিয়াছে আগে অধ্যাত্মকে—অন্তরে সত্য-পুরুষকে আবিষ্কার করিতে, উর্দ্ধতন শক্তিরাজির যত গহনতম ধারা তাহা ব্যক্ত করিয়া ধরিতে; ভারত জীবনের সামর্থ্য বাড়াইয়া তুলিতে চাহিয়াছে, সেইজন্য আগে চেষ্টা করিয়াছে জীবনকে কোন না কোন প্রকারে এমন বশীভূত করিতে, ইচ্ছামত এমন গড়িয়া পিটিয়া লইতে, যাহাতে সেখানে প্রতিফলিত প্রতিরণিত হইয়া উঠিতে পারে অধ্যাত্মেরই শক্তি। একদিকে সে সহজ বৃত্তিগুলিকে সহজভাবেই ফুটাইয়া ধরিতে চেষ্টা করিয়াছে, —বুদ্ধি, ইচ্ছাশক্তি, কর্ত্তব্যবোধ, সৌন্দর্যবোধ, চিত্তাবেগ প্রভৃতি মানস-বৃত্তির মনের মধ্যেই কতদূর কি সম্ভাবনা তাহা তলাইয়া দেখিয়াছে; অন্যদিকে আবার এই সকল বৃত্তিকেই সে চেষ্টা করিয়াছে মনের উপরে তুলিয়া ধরিতে, বৃহত্তর জ্যোতির শক্তির দিকে ঘুরাইয়া

৪১