দ্বিতীয় ধাপ হইতেছে, ইউরোপীয় প্রভাবের বিরুদ্ধে ভারতীয় ভাবের প্রতিক্রিয়া—ফল, ইউরোপ যাহা কিছু দিতে চাহিয়াছিল তাহা এক রকম সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা আর দেশের অতীতের প্রধান অপ্রধান সব বিষয়েরই উপর অতিমাত্র জোর দেওয়া। অবশ্য এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও গোপনে চলিয়াছিল বাহিরের প্রভাবকে আত্মবশ করিয়া, আত্মসাৎ করিয়া লইবার একটা চেষ্টা। আর তৃতীয় ধাপটি সুরু হইতে চলিয়াছে বা সবে সুরু হইয়াছে মাত্র। এটি নূতন সৃষ্টির যুগ। এই নূতন সৃষ্টিতে ভারতের অধ্যাত্মশক্তি আবার সকলের উপর স্থান লইয়াছে, আবিষ্কার করিতেছে আপনার পূর্ব্ব পূর্ব্ব উপলব্ধ সত্য সব, আধুনিক ভাবের মধ্যে, রূপের মধ্যে যাহা প্রয়োজনীয়, যাহা অপরিহার্য্য, যাহা সত্য, যাহা সুস্থ দেখিতেছে তাহাই গ্রহণ করিতেছে কিন্তু সে সব এমনভাবে আত্মসাৎ করিয়া রূপান্তরিত করিয়া লইতেছে, নিজের স্বভাবের মধ্যে এমনভাবে একীভূত করিয়া ফেলিতেছে যে, তাহাদের বিদেশীয় প্রকৃতি লোপ পাইয়া যাইতেছে, তাহারা হইয়া উঠিতেছে ‘পুরাণী দেবী’ ভারত—শক্তিরই নিজস্ব লীলায়িত প্রতিভা-স্পষ্টই সেখানে আমরা দেখি, ভারত আধুনিক প্রভাব সব অমিতবলে
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৪৪