পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

বিলম্বে এই সমস্যাটি পূরণ করাই আমাদের পক্ষে বোধ হয় একান্ত প্রয়োজনীয় হইয়া পড়িবে।

 সকলের আগে গোড়ার প্রশ্ন হইতেছে, বাস্তবিকই ভারতের একটা নবজন্ম আসিয়াছে কি না। প্রশ্নটির উত্তর নির্ভর করিবে ‘নবজন্ম’ বলিতে কি বুঝি আমরা তাহার উপরে। তা ছাড়া ভবিষ্যতে কি ঘটে বা না ঘটে তাহার উপরেও অনেক নির্ভর করিবে—কারণ, জিনিষটি বর্ত্তমানে রহিয়াছে অতি অপূর্ণ অবস্থায় পরে তাহা কি রূপ লইবে বা না লইবে তাহা এখন পর্যন্ত কিছু জোর করিয়া বলা যায় না। ‘নবজন্ম’ কথাটা ইউরোপীয় রেনাসেন্স (Renaissance) কথাটির প্রতিধ্বনি—নবজন্ম বলিতেই ইউরোপ তাহার শিক্ষাদীক্ষার যে সন্ধিমুহূর্ত্তকে প্রথম এই নাম দিয়াছিল, তাহারই চিত্র আমাদের মনে পড়িয়া যায়। কিন্তু ইউরোপের এই নবজন্মকে ঠিক নবজাগরণ বলা যায় না, তাহা একটা আমূল পরিবর্ত্তন, একটা বিপর্য্যয়। ইউরোপ আগে ছিল খৃষ্টীয়-ধর্ম্মের, টিউটন-জাতির, ফিউডতন্ত্রের হাবে ভাবে অভিভূত; তাহার উপর আসিয়া পড়িল প্রাচীন গ্রীস ও রোমের শিক্ষাদীক্ষার বন্যা, তাহাতে পুরাতন ধারা ধুইয়া মুছিয়া গেল; সেখানে