পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

হইলেও, প্রতিভায় ও সৃজন-সামর্থ্যে তাঁহারা ছিলেন বিশেষ শক্তিমান্—তাঁহাদের কিন্তু মনের ভাব এ রকমের ছিল না। তাঁহারা আশায় আশায় ছিলেন যে, তাড়াতাড়ি একটা পরিবর্ত্তন হইয়া যাইবে—পরে জাপান অদ্ভুত ক্ষিপ্রতার সহিত যাহা করিতে পারিয়াছিল, সেই ধরণের কিছু। নবীন ভারত মনে, প্রাণে, অন্তরাত্মায়, সর্ব্ববিষয়ে সম্পূর্ণরূপে আধুনিক হইয়া উঠিবে—ইহাই ছিল তাঁহাদের পরম আকাঙ্ক্ষা। তীব্র স্বদেশপ্রেমে তাঁহারা উদ্বুদ্ধ হইয়াছিলেন, কিন্তু তাঁহাদের চিন্তার ভঙ্গী ছিল বিজাতীয়। আমাদের প্রাচীন শিক্ষাদীক্ষা শুধু অর্দ্ধসভ্যতার পরিচয়—পাশ্চাত্যের এই অভিমত তাঁহারা স্পষ্ট কথায় না হউক, কার্যতঃ মানিয়া লইয়াছিলেন। তাঁহাদের মূল আদর্শ সব পাশ্চাত্য হইতে গৃহীত, যে পাশ্চাত্য শিক্ষায় তাঁহারা গঠিত হইয়াছিলেন তাহারই ভাবে, ভঙ্গীতে, ধরণধারণে অনুপ্রাণিত। মধ্যযুগের ভারত হইতে তাঁহারা বিদ্রোহ-ভরে সরিয়া দাঁড়াইয়াছিলেন—তখনকার যাহা কিছু সৃষ্টি, সে সকলকে ধ্বংস করিতে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করিতে তাঁহারা বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন; সেখান হইতে যদিই বা কখন কিছু গ্রহণ করিতেন, তবে কেবল কবিত্বময় অলঙ্কার হিসাবে,

৪৯