পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

অথবা তাহাদের একটা বাহ্যিক, আধুনিক অর্থ করিয়া দিয়া। প্রাচীন ভারতের প্রতি তবুও তাঁহারা গর্ব্বভরে চক্ষু ফিরাইয়া ধরিয়াছিলেন—সব দিকে না হউক, অন্ততঃ কোন কোন দিকে। তাঁহাদের নূতন দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে যাহাই মিলাইয়া ধরিতে পারিয়াছেন, প্রাচীনের তাহাই সাদরে বরণ করিয়া লইয়াছেন। কিন্তু এই ভাবে কোন জিনিষেরই মূল অর্থ, সত্যকার ব্যঞ্জনার মধ্যে প্রবেশ করিতে তাঁহারা পারেন নাই, তাঁহাদের পাশ্চাত্য মস্তিষ্কের সাথে যে বস্তুর সামঞ্জস্য স্থাপন করিতে অপারগ্ হইয়াছেন, তাহাকেই কাটিয়া ছাঁটিয়া ফেলিয়া দিতে চাহিয়াছেন। ধর্ম্মকে তাঁহারা যতদূর পারেন, বুদ্ধিবিচারের মাপকাঠি দিয়া সহজ সাদামাঠ। যুক্তিবদ্ধ করিয়া ফেলিলেন; যে সাহিত্য তাঁহারা সৃষ্টি করিলেন, তাহার মধ্যে ইংরাজীর হাবভাব, তাঁহাদের ইংরাজী আদর্শের সমস্ত প্রাণই দুইহাতে আমদানী করিতে লাগিলেন— অবশ্য আর সকল শিল্পকলার দিকে ফিরিয়াও নজর দিলেন না। রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তাঁহাদের আশা ও ভরসা হইল ইংরাজের অনুসরণ করা বা হুবহু অনুকরণ করা অর্থাৎ ঊনবিংশ শতাব্দীর ইংলণ্ডে ছিল যে মধ্যবিত্তদের কর্ত্তৃত্বাধীন একটা ভুয়ো-গণতন্ত্র, তাহাকে সাঙ্গোপাঙ্গ

৫০