তুলিয়া আনিয়া ভারতে স্থাপন করা। সমাজকেও তাঁহারা ঢালিয়া আবার সাজিতে চাহিয়াছিলেন ইউরোপের সামাজিক আদর্শ, ইউরোপীয় সমাজের গড়ন অনুসারে। এই রকম অন্ধ শ্রদ্ধাবশে তাঁহারা যে যে জিনিষ আঁকড়িয়া ধরিয়াছিলেন, ভবিষ্যতে তাহাদের কোন কোনটির সার্থকতা কিছু থাকিলেও হয়ত থাকিয়া যাইতে পারে; কিন্তু যে উপায় বা পথ তাঁহারা লইয়াছিলেন, তাহা সম্পূর্ণ ভুল, কথা আজ আমরা স্বীকার করিতেছি। ইংরাজী ভারতবর্ষ যে কখনও সম্ভব বা বাঞ্ছনীয়, তাহা আমরা আর মনেও করিতে পারি না। ফলতঃ, ভারতবর্ষকে যদি সত্য সত্যই ইংরাজী ভাবাপন্ন করিয়া তুলিতে চেষ্টা করিতাম, তবে আমরা হইয়া পড়িতাম—বড়জোর দীন নকলনবীশ, হীন অনুচর;—দেখিতাম ইউরোপের পশ্চাতে ছুটিতে ছুটিতে আমরা প্রতিপদে হোঁচট্ খাইয়া পড়িয়া যাইতেছি আর চিরদিনই অন্ততঃ পঞ্চাশ বছর পিছনে রহিয়া গিয়াছি। পাশ্চাত্য প্রভাবান্বিত সে মনের ধারা বেশী দিন ভারতে ছিল না, থাকা সম্ভব ছিল না। আজকাল এখানে ওখানে তাহার দুই একটা নিদর্শন দেখা গেলেও যাইতে পারে, কিন্তু তাহাতে প্রাণের স্পন্দন নাই,
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৫১