পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

তাহাকে সজীব, সমর্থ করিয়া তোলা দুঃসাধ্য নয়, অসাধ্য।

 তবুও, সকল সত্ত্বেও, এই স্থূল অনুকরণের যুগও একেবারে বিফলে যায় নাই। এমন কতকগুলি জিনিষ সে সৃষ্টি করিয়া দিয়াছিল, যাহা না হইলে ভারতের নবজীবন কখন শক্তিশালী হইয়া উঠিতে পারিত না। সে সকলের মধ্যে সব চেয়ে প্রধান যে তিনটি, তাহাদেরই কথা এখানে আমরা বলিব। প্রথমতঃ, ভারতে আবার জাগিয়াছে মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তির অবাধ খেলা। প্রথম প্রথম এই বৃত্তিটি খুব সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যেই আবদ্ধ ছিল, বেশীর ভাগ পরের প্রতিধ্বনি করিয়াই চলিত বটে; কিন্তু ক্রমে তাহা দেশের সহিত, মানবজাতির সহিত যে বিষয়ের কিছু সম্পর্ক আছে, তৎসমুদয়ের উপরই আপনাকে ছড়াইয়া দিতেছে, যতই দিন যাইতেছে ততই দেখিতেছি তাহার অনুসন্ধিৎসা বাড়িয়া যাইতেছে, যে ক্ষেত্র ধরিতেছে সেই ক্ষেত্রেই তাহার নিজস্বতা উত্তরোত্তর ফুটাইয়া তুলিতেছে। প্রাচীন ভারতের ছিল যে সকল প্রকার জ্ঞানের জন্য একটা অশ্রান্ত আকাঙ্ক্ষা, তাহাই যেন আবার ফিরিয়া আসিতেছে; সেই জ্ঞানে আস্তে আস্তে প্রাচীনকালেরই প্রসারতা, গভীরতা,

৫২