কার্য্যপটুতা যে ফুটিয়া উঠিবে, তাহাও সন্দেহ করিবার নহে। ভারতের বুদ্ধির মধ্যে দেখা দিয়াছে একটা নিরঙ্কুশ বিচারশক্তি, পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণক্ষমতা, সংস্কারমুক্ত হইয়া সত্যসিদ্ধান্তে পৌঁছিবার দৃঢ়তা— মস্তিষ্কের এই কয়টি গুণ পূর্ব্বকালে মুষ্টিমেয় জ্ঞানীর মধ্যে ও সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্রের মধ্যে আবদ্ধ ছিল, কিন্তু বর্ত্তমানে তাহারা হইয়া পড়িয়াছে সাধারণ হিসাবে বুদ্ধিবৃত্তির অনিবার্য অঙ্গ। অনুকরণের যুগে অবশ্য এই সকল ধারা ভারত বেশীদূর লইয়া যাইতে পারে নাই, কিন্তু বীজ তখনই বপন করা হইয়াছিল; সেই বীজ ফলে ফুলে কি রকমে মুঞ্জরিত হইয়া উঠিতেছে তাহা দেখিতেছি আজ আমরা। দ্বিতীয়তঃ, এই যুগে আধুনিক ভাব চিন্তা সব আমাদের প্রাচীন শিক্ষাদীক্ষার মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়া আমাদের সনাতন দৃষ্টিভঙ্গীকে ভাঙ্গিয়া দিয়াছে—তাই কেবল গতানুগতিক সংস্কারের মাপকাঠিতে আধুনিক ভাবচিন্তাকে বিচার না করিয়া, সম্পূর্ণ নূতন রকমে সেগুলিকে দেখাশুনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হইয়াছে। সকলের শেষে, আমাদের প্রাচীন সম্পদের প্রতিও আমরা দিতে পারিতেছি একটা অভিনব দৃষ্টি এবং ইহারই কল্যাণে আমরা উদ্ধার করিতে পারিতেছি এতদিনকার অঙ্ক
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৫৩