পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

অথর্ব্ব অনুষ্ঠানাদির মধ্যে গুপ্ত লুপ্ত হইয়া ছিল প্রাচীনের যে অর্থ যে প্রাণ; শুধু তাই নয়, এই নূতন দৃষ্টির সহায়েই আমরা প্রাচীন সত্যের ভিতর হইতে খুলিয়া ধরিতে পারিতেছি নূতন নূতন রূপ, নূতন নূতন অভিব্যঞ্জনা—আমরা আবিষ্কার করিতেছি নবতর সৃষ্টির, নবতর রূপান্তরের সম্ভাবনা। এই প্রথম যুগে আমাদের প্রাচীন শিক্ষাদীক্ষাকে আমরা ভুল বুঝিয়াছি— কিন্তু তাহাতে কিছু আসে যায় না। আমরা জিনিষকে যে ফিরিয়া নূতন করিয়া দেখিতে শিখিয়াছি, এমন কি, গোঁড়া প্রাচীনপন্থী যে মন, তাহাকেও বাধ্য হইয়া এই শিক্ষা যে গ্রহণ করিতে হইয়াছে—ইহাই হইতেছে সকলের চেয়ে বড় কথা।

 অনুকরণের যুগের পর প্রতিক্রিয়ার যুগ। এই দ্বিতীয় যুগে ভারত ঘরমুখী হইয়াছে, চলিয়াছে নিজের জাতীয় সত্তার বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করিতে করিতে—লাভ করিয়াছে ধর্ম্মের ও কর্ম্মের গভীরতর সত্যতর ইঙ্গিত প্রেরণা সব। প্রথমতঃ, ইংরাজীয়ানার স্রোতের মুখে অনতিবিলম্বেই আসিয়া দেখা দিল ভারতের প্রাচীন প্রাণ এবং ইহারই রঙে ক্রমশঃ সে ইংরাজীয়ানা নিবিড়ভাবে রঙিয়া উঠিতে লাগিল। আজকাল আধুনিক-শিক্ষিত

৫৪