পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

তাহাও অবলীলাক্রমে আমরা স্বীকার করিয়াছি। অতীত ও বর্ত্তমানকে এই রকমে মুক্তভাবে মিলাইয়া মিশাইয়া চলা, নূতন গড়ন দিয়া পুরাতনের রক্ষণ— এই আদর্শের শক্তিমান্ বিগ্রহ ছিলেন বিবেকানন্দ।

 কিন্তু ইহাও শেষ কথা নয়—এখান হইতেই আবার আর একটা নূতন সৃষ্টির ধারার সূত্রপাত। অন্যথা, আমরা যে চিন্তার ও প্রেরণার যুগলধারার কথা পূর্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি, তাহার ফলে পাইতাম একটা বিসদৃশ মিশ্রণ—শরীরে যেমন আমরা আজকাল ধারণ করি ইউরোপীয় ও ভারতীয় পোষাকের একটা অপরূপ খিচুড়ী, মনের জগতে কতকটা হইত সেই রকম একটা বস্তু। ভারতকে অখণ্ডভাবে ফিরিয়া পাইতে হইবে তাহার অন্তরাত্মার গভীরতম প্রদেশে যে নৈসর্গিক শক্তি, বর্ত্তমানের প্রয়াস ভবিষ্যতের লক্ষ্য সব ধরিয়া দিতে হইবে ঐ অন্তরাত্মার শক্তির কাছে—এই শক্তিই জীবনের সকল প্রকাশকে যথাযথ ভাবে মিলাইয়া মিশাইয়া গড়িয়া পিটিয়া তুলিবে। এই ধরণের যে জীবন্ত, যে নিজস্ব সৃষ্টি হইতে পারে, তাহার বিশেষ একটা নিদর্শন আধুনিক ভারতের নব চিত্রকলা। এই নিজস্ব সৃষ্টির ধারা যখন আমাদের জাতীয় জীবনের

৫৮