পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

সর্ব্বত্রই যে জিনিষটি দেখি, তাহা হইতেছে সূচনার সূত্রপাত—আরম্ভের আরম্ভ।

 তবে একটিমাত্র জিনিষ সম্বন্ধে বোধ হয় নিঃন্দেহ হওয়া যাইতে পারে। সেইটি এই যে, অতীতকালের মত ভবিষ্যতেও ভারতের জীবনে মুখ্য ও মূল সুর হইবে আধ্যাত্মিকতা। আধ্যাত্মিকতা বলিতে আমরা কেবল সূক্ষ্ম তত্ত্বপরায়ণতা অথবা কাজ করিবার অপেক্ষা স্বপ্ন দেখিবার প্রবৃত্তি বুঝিতেছি না। এই অর্থে আধ্যাত্মিকতা কথাটি প্রাচীন ভারত তাহার পূর্ণ সামর্থ্যের গৌরবময় যুগে কখনও গ্রহণ করে নাই— ইউরোপের ও ইউরোপীয় ভাবে প্রভাবান্বিত একদল সমালোচক বিরুদ্ধে যতই কিছু বলুন না কেন—এবং ভবিষ্যতের ভারতও কখন তাহা গ্রহণ করিবে না। ভারতের মানসশক্তির মধ্যে তত্ত্বচিন্তা একটা প্রধান বৃত্তিই হইয়া থাকিবে সন্দেহ নাই, এবং এই ক্ষেত্রে তাহার যে সমস্ত সামর্থ্য ও প্রতিভা তাহা যেন কখন সে না হারায়, ইহাও বাঞ্ছনীয়। তবে ইউরোপ যাহাকে দার্শনিকতত্ত্ব (metaphysics) বলে অর্থাৎ জর্ন্মণ বা ফরাসী পণ্ডিতের মত চুল-চেরা চিন্তা সব বিনাইয়া বিনাইয়া বলা অথবা আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের

৬১