পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

মত স্থুল জগতের কয়েকটিমাত্র ব্যাপার লক্ষ্য করিয়া তাহা হইতে সর্ব্বসাধারণ একটা দর্শনের (Philosophy) সূত্র বা নিয়ম নিষ্কাষণের চেষ্টা—এই দুইটির কোনটিই ভারতের তত্ত্ববিদ্যা বা দর্শনের স্বরূপ নয়। ভারতের দার্শনিক তত্ত্ব মূলতঃ চিরকালই ছিল বুদ্ধির সহায়ে অধ্যাত্মিক উপলব্ধিকে গোচর করিবার, নিকটে আনিবার প্রয়াস। অব্শ্য শেষাশেষি, এই দার্শনিক তত্ত্বপরায়ণতা জীবনের আয়তন হইতে অনেক দূরে সরিয়া পড়িয়াছিল, কিন্তু গোড়ায় তাহার প্রকৃতি এ রকমের ছিল না। আদিকালের বেদান্তে অর্থাৎ উপনিষদের সাক্ষাৎজ্ঞানলব্ধ যে তত্ত্ব, তাহাতে এই জিনিষটি পাই না এবং পরবর্ত্তী কালে যখন দেখা দিল চিন্তাবৃত্তির সজীব সমর্থ নূতন সৃষ্টির একটা যুগ, তখনও যেমন গীতার মধ্যে—সেই উপনিষদেরই মূলসিদ্ধান্ত অটুট্ রহিয়া গিয়াছে, দেখিতে পাই। বৌদ্ধদর্শনই সর্ব্বপ্রথম জীবনকে বাস্তবিক সন্দেহের চোখে দেখিতে আরম্ভ করে। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম্ম দার্শনিক সিদ্ধান্ত হিসাবেই জীবনকে অস্বীকার করিতে চেষ্টা করিয়াছে—সাধনার, প্রয়োগের ক্ষেত্রে কার্য্যতঃ দেখি, সে জীবনকেই ধরিয়া চলিয়াছে, তাহাতে দিতে চাহিয়াছে শুধু একটা নূতন

৬২