পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

রূপ, নূতন অর্থ। বৌদ্ধদের প্রবর্ত্তিত সদাচার ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রণালী মানুষের জীবনযাত্রায় একটা তপশ্চর্য্যার কঠোর সামর্থ্য আনিয়া দিয়াছিল, সেই সাথেই আবার মিশাইয়া দিয়াছিল একটা প্রীতির কোমলতর আদর্শ। এই জন্যই সমাজে, রাষ্ট্রে এবং জীবনের রহস্য ব্যক্ত করিয়া ধরিতেছে যে সব শিল্পকলা, তাহাতে বৌদ্ধযুগ এতখানি সৃষ্টিক্ষম হইয়া উঠিয়াছিল। অধ্যাত্মের সত্য নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করা এবং তাহারই সহায়ে জীবনকে সঞ্জীবিত, পুনর্গঠিত করা— ইহাই হইতেছে ভারতের প্রকৃতির সনাতন বৃত্তি। যখনই আসিয়াছে স্বাস্থ্যের, সামর্থ্যের মহত্ত্বের যুগ, তখনই ভারত যে এই বৃত্তিটির কাছে ফিরিয়া যাইবে, তাহা অনিবার্য্য।

 ভারতের যত আন্দোলন জীবনকে ঢালিয়া গড়িতে চেষ্টা করিয়াছে, তাহার প্রত্যেকটির সূত্রপাত হইয়াছে দেখি একটা নূতন অধ্যাত্ম জিজ্ঞাসা দিয়া, প্রায়ই একটা নূতন ধর্ম্ম-প্রচেষ্টা দিয়া। বেশী দূর যাইতে হইবে কেন, এই যে সেদিনকার ইউরোপীয় ভাবের আক্রমণ, তাহা ছিল কতথানি তর্কপন্থী, যুক্তিবাদী, ধর্ম্মভাবের পক্ষে অপেক্ষা বিপক্ষেই সে চলিয়াছে বেশী; তাহার আদর্শ, অনুপ্রেরণা ছিল অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপের

৬৩