পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

ইহসর্ব্বস্ব বহির্ম্মুখী বুদ্ধি; অথচ ভারতবর্ষের উপর তাহার প্রথম ফল হইল ধর্ম্মসংষ্কারের চেষ্টা, চেষ্টা শুধু কেন, কার্যতঃ কয়েকটি নূতন ধর্ম্মমতেরই সৃষ্টি। ভারতের এই বোধ একরকম নৈসর্গিক যে চিন্তাজগৎকে সমাজকে নূতন করিয়া গড়িতে হইলে আগে দরকার একটা আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠা; ধর্ম্মের প্রেরণা ও ধর্ম্মের রূপায়ন দিয়াই তাহা আরম্ভ করিতে হইবে। ব্রাহ্মসমাজের পত্তন হয় একটা উদার বিশ্বজনীন্‌ ভাব লইয়া, যে সমন্বয়ের চেষ্টা সে করিয়াছে, তাহার জন্য উপকরণাদি সে সংগ্রহ করিয়াছে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ও জাতির ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাদীক্ষা হইতে। তাহার মূল অনুপ্রেরণা ছিল বৈদান্তিক, কিন্তু বাহ্য রূপের জন্য সে গিয়াছিল ইংলণ্ডের Unitarian (একেশ্বরবাদী) সম্প্রদায়ের নিকট বা এই ধর্ম্মমতের কতকটা ধরণধারণ, কতকটা খৃষ্টানী প্রভাব, অনেকখানি যুক্তিবাদ ও বুদ্ধিসর্ব্বস্বতা প্রভৃতি মিলিয়া মিশিয়া হইয়াছে ব্রাহ্মধর্ম্ম। কিন্তু এখানে যাহা লক্ষ্য করিবার বিষয়, তাহা হইতেছে এই যে, ব্রাহ্মধর্ম্মের সূত্রপাতই হয় বেদান্তকে ফিরিয়া নূতন ভাবে প্রতিষ্ঠা করিবার প্রয়াসে। শুধু তাই নয়, দেশের সনাতন শিক্ষাসাধনার মধ্যে যাহাকে বলা যাইতে পারে

৬৪