পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

দাঁড়ায়। এমন কি, সন্ন্যাস, বৈরাগ্যও দেখিতেছি আর কেবল ধ্যানমগ্ন, আত্মসমাহিত বা উদাসীন হইয়া থাকিতে পারিতেছে না, প্রচারের জন্য, শিক্ষার জন্য, জনসেবার, মানবের কল্যাণ কর্ম্মের জন্য উৎসুক হইয়া পড়িয়াছে। দেশের যাঁহারা চিন্তাবীর মনীষী, তাঁহারা সকলেই এই জীবন-সাধনার উপরে দিনের পর দিন উত্তরোত্তর বেশী জোর দিয়া চলিয়াছেন। ভবিষ্যতে আমরা কোন্ দিকে কি করিব বর্ত্তমানে তাহার বিশেষ ইঙ্গিত বোধ হয় এইখানেই। ইহারই মধ্যে হয়ত রহিয়াছে ভারতের নবজন্মের গুপ্ত রহস্য। ভারত চাহিতেছে তাহার জীবনপ্রতিষ্ঠানের যে সব বাহ্যিক রূপ তাহা হইতে আপনাকে সরাইয়া লইয়া অন্তরাত্মার গভীরতম সত্তার মধ্যে ডুবিয়া যাইতে এবং সেখান হইতে একটা অধ্যাত্মশক্তির মুক্তধারা লইয়া আসিয়া, ফিরিয়া আবার সমস্ত জীবনকে ওতপ্রোত ভাবে তাহার দ্বারায় অভিষিক্ত করিয়া তুলিতে।

 কিন্তু জীবনকে ধরিয়া চালাইবার জন্য এই অধ্যাত্মশক্তি কোন্ কোন্ মৌলিক চিন্তাসূত্র, কি রকম করণ বা প্রণালী সব আশ্রয় গ্রহণ করিবে, তাহা এখনও স্থির করিয়া বলা যাইতেছে না। কারণ, নবভারত এখনও

৬৯