পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

বস্তুকে বুদ্ধির মধ্যে সুস্পষ্ট সুসীম করিয়া ধরিতে পারে নাই; নানা ধর্ম্মমত, অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান সবই তাহার হইতেছে পিছনের আধ্যাত্মিক প্রেরণার বাহ্য লক্ষণ মাত্র—ধর্ম্মসাধনা জিনিষটাই এখন হইতেছে আপনার নিভৃত শক্তিকে লাভ করিবার জন্য অধ্যাত্মশক্তির নিবিড় প্রয়াস। কিন্তু আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ বা প্রসার হইতে থাকে তখন, যখন সে আধ্যাত্মিকতা মনের মধ্যে এমন সমর্থ চিন্তা তুলিয়া ধরে যাহার কাজ জীবনে রূপ সৃষ্টি করা, এমন সব আদর্শ ফুটাইয়া তোলে যাহা নূতন নূতন দিকে বুদ্ধিকে নিযুক্ত করে, ফলাইয়া ধরিবার জন্য প্রাণশক্তিকে প্রচালিত করে।

 ভারতবর্ষে দর্শনের কাজ ছিল বুদ্ধির সহায়ে বুদ্ধির ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক জ্ঞান বা উপলব্ধিকে প্রকাশ করা। কিন্তু বর্ত্তমানে এই দার্শনিক বুদ্ধি এখনও কোন নূতন সৃষ্টি সম্যক্ আরম্ভ করিতে পারে নাই। এ যাবৎ ইহা পুরাতন জ্ঞানসম্পদ‍্কেই ফিরিয়া আবার—হয় ত ভিন্ন কথায়—বলিতে চেষ্টা করিয়াছে; কিন্তু জ্ঞানের, আদর্শের পরিধি বাড়াইয়া ধরিবার জন্য কোন নূতন তথ্য স্থাপনের দিকে তেমন অগ্রসর হইতে চাহে নাই। ইউরোপীয় দর্শনের সংস্পর্শও তাহার মধ্যে নবসৃষ্টির ধারা কিছু

৭০