পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

উৎপাদন করিতে পারে নাই। ইহার অবশ্য কারণ আছে প্রথমতঃ, দর্শনের ক্ষেত্রে ইউরোপের নিকট হইতে গ্রহণ করিবার মত ভারতের তেমন কিছু আছে কি না সন্দেহ। ইউরোপের দর্শনে পাই যাহা কিছু শ্রেষ্ঠ তথ্য, তাহা দেখি ভারতবর্ষ আগেই আবিষ্কার করিয়া বসিয়া আছে, তাহার নিজের আধ্যাত্মিক প্রকৃতি ও প্রতিভার সহিত সামঞ্জস্য থাকে এমন যথাযোগ্য ভাবে ও রূপে। অবশ্য ইদানীন্তনকালে নীট‍্শ, বের্গসন ও জেম্‌স’এর চিন্তা এখানে ওখানে দুই একটি মনকে স্পর্শ করিয়াছে বলা যাইতে পারে; কিন্তু তবুও ইহাদের সিদ্ধান্তে স্থুল প্রত্যক্ষ, বাহ্য কর্ম্মফল, মানুষের প্রাণশক্তিকে এতখানি বড় করিয়া দেখা হইয়াছে যে, মনে হয় না ভারত তাহাকে সত্যতঃ কখন আপনার বস্তু করিয়া লইতে পারিবে। ভারতের দর্শন বিকশিত হইয়া উঠিতে পারে একমাত্র অধ্যাত্মদৃষ্টিকে আশ্রয় করিয়া। গত শতবৎসর ধরিয়া যত ধর্মান্দোলন উঠিয়াছে, তাহারা যে সব অধ্যাত্মজিজ্ঞাসা তুলিয়া ধরিয়াছে, তাহারই ফলস্বরূপ শুধু পাওয়া যাইতে পারে ভারতের নবদর্শন। ইউরোপের মত, কেবল বিচার-বিশ্লেষণ-পরায়ণ তর্কবুদ্ধি অথবা বৈজ্ঞানিক চিন্তা জ্ঞান কখন ভারতে দর্শনের

৭১