শুনা যায়; কিন্তু একমাত্র বাঙ্গলাই ইতিমধ্যে গড়িয়া তুলিয়াছে রীতিমত একটা সাহিত্যের রাজ্য—সে সাহিত্যের আছে নিজস্ব প্রাণ, নিজস্ব রূপ, পাকা বনিয়াদ তাহার স্থাপিত হইয়াছে; তাই এখন দিন দিনই তাহা বাড়িয়া চলিয়াছে। বাঙ্গলার চিত্রশিল্প আর নগণ্য নয়,— একটা সূক্ষ্ম সৌন্দর্য্যবোধ, একটা আধ্যাত্মিক দৃষ্টির দ্বারা অনুপ্রাণিত এই বাঙ্গলার আপনকার শিল্প বিশ্বশিল্পের খুলিয়া দিয়াছে একটা নূতন ধারা। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে দুই জনের নাম আমরা সকলেই জানি—তাঁহাদের এক জনের আবিষ্কার ত একটা ওলট্পালট্ ঘটাইয়াছে তা ছাড়া, বাঙ্গলায় যে তরুণ গবেষকমণ্ডলী গড়িয়া উঠিয়াছে, বিজ্ঞানের ভাণ্ডারে তাহাদের দানও আজকাল হিসাব করিতে হইতেছে। সুতরাং বঙ্গদেশের দিকে লক্ষ্য করিলেই আমরা বুঝিতে পারি, ভারতের মতি, ভারতের গতি বিশেষ ভাবে, বাঙ্গলার চিত্রকলা এ বিষয়ে আমাদের যতখানি সাহায্য করিবে, ততখানি আর কিছুতে করিবে না—এমন কি, বঙ্কিমের গদ্যও নয়, রবীন্দ্রের কাব্যও নয়। তার কারণ, বাঙ্গলার কবিতাকে হাতড়াইয়া হাতড়াইয়া চলিতে হইয়াছে, এবং এখনও সে যে ঠিক পথটায় পাকাপাকি উঠিতে
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৭৩