পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

পারিয়াছে, এমন বলা যায় না; কিন্তু বাঙ্গলার চিত্রশিল্প এমন চেষ্টাতে পা বাড়াইতেই, একটা যেন অপরোক্ষ উপলব্ধির বলেই, একেবারে তাহার স্বধর্ম্মের স্বরূপের পথে গিয়া দাঁড়াইয়াছে।

 এ রকম যে হইয়াছে তাহার প্রথম হেতু এই যে, বাঙ্গলার নূতন সাহিত্যের গোড়া-পত্তন হইয়াছে বিদেশী প্রভাবের, একটা অস্পষ্টতার অনিশ্চয়তার যুগে। ভারতের শিল্প কিন্তু সে সময়ে চুপ করিয়া পড়িয়াছিল, কোন রকম সাড়াশব্দ দেয় নাই—অবশ্য রবিবর্ম্মার বীভৎস প্রয়াস মাঝখানে কিছু দিন সোরগোল তুলিয়াছিল, কিন্তু সুন্দরের নামে সে কুৎসিতের পূজা বন্ধ্যা নারীর গর্ভবেদনার মতই যে নিরর্থক, নিষ্ফল হইয়া পড়িবে তাহা স্বাভাবিক। ভারতের নব শিল্প জন্ম লইল ভারত যখন আপনাকে পাইতে চলিয়াছে, দেখিয়াছে একটা স্পষ্টতর জ্ঞানের আলোক। তা ছাড়া, দ্বিতীয় হেতু হইতেছে এই যে, সাহিত্যের আশ্রয় যে বাক্য ও অর্থ তাহাতে যতখানি আছে অবকাশ, তারল্য, বৈচিত্র্য, তাহার তুলনায় চিত্র বা ভাস্কর্য্য যে সব রূপ ও ভাব ধরিয়া চলে, তাহাতে আছে বেশী রকম বাঁধাবাঁধি। কিন্তু চিত্র বা ভাস্কর্য্যের ক্ষেত্র এই রকমে সঙ্কীর্ণ বলিয়াই তাহার

৭৪