পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

আছে একটা সহজ নিবিড়তা, তীব্রতা আর সেই জন্যই তাহাদের মধ্যে সাহিত্যের চেয়ে সহজে পাই স্পষ্ট নিশ্চয় নির্দ্দেশ। আর বাঙ্গলার নবীন শিল্পীদিগের বিশেষত্ব, সমস্ত শক্তি দেখি এইখানে, যে তাঁহারা জিনিষের স্থূলরূপ ও ব্যক্ত অর্থকে ধরিয়া দেখাইতে চাহেন নাই, গোড়া হইতেই তাঁহাদের সঙ্কল্পই ছিল জিনিষের অন্তরাত্মার অব্যক্ত রহস্যের সন্ধান। বাঙ্গলার শিল্পের উৎস অপরোক্ষ অনুভূতি, এবং যে রূপ সে রচিয়া তুলিয়াছে, তাহা হইতেছে এই অপরোক্ষ অনুভূতিরই নিজস্ব ছন্দঃ, আমাদের তর্কবুদ্ধি স্থূল চক্ষুর প্রমাণে যে আকার মাপিয়া জুকিয়া তৈয়ার করে সে সকলের সহিত উহার কোন সম্বন্ধই নাই। এই শিল্প সীমার উপর ভর করিয়া হেলিয়া পড়িয়াছে অসীমের অব্যক্তের দিকে, তাহারই কিছু ইঙ্গিত আভাস আবিষ্কারের জন্য; বাহিরের জীবনের, স্থুল প্রকৃতির দিকে সে ফিরিয়াছে, তাহার উপরে এমন রেখা, এমন রঙ, এমন ছন্দঃ, এমন রূপ সব খেলাইয়া তুলিতে যেন ফুটিয়া উঠে আর এক রকম জীবনের, জীবনাতীতের অভিব্যঞ্জনা, আর প্রকৃতির, স্থূল প্রকৃতি আচ্ছাদিত করিয়া রাখিয়াছে যে প্রকৃতি তাহার দৃশ্যাবলী। ভারতীয় শিল্পকলার ইহাই

৭৫