পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

 বঙ্গদেশের কাব্য ও সাহিত্য স্পষ্ট দুইটি বাঁক পার হইয়া আসিয়াছে এবং মনে হয় এখন আর একটি অনুসরণ করিবার উপক্রম করিতেছে; কিন্তু এই তৃতীয়টির স্বরূপ যে কি হইবে, তাহা আগে হইতেই ঠিক বলা যাইতেছে না। তাহার আরম্ভ ইউরোপীয় অর্থাৎ বেশীর ভাগই ইংরাজী প্রভাব লইয়া; সেই যুগেই আমদানী হইয়াছে গদ্যের ও পদ্যের নূতন নূতন ছাঁচ, নূতন নূতন সব সাহিত্যিক ভাব, রসায়নের বিধান। তখনকার সৃষ্টিতে ছিল প্রাচুর্য্য, ছিল উৎফুল্লতা; অনেক কবি তখন দেখা দিয়াছেন—শুধু পুরুষ নয়, মেয়েদের মধ্যেও। তাঁহাদের দুই জন বা একজন ছিলেন রীতিমত প্রতিভাবান স্রষ্টা, অন্যান্যের কবিত্বশক্তিও অকিঞ্চিৎকর ছিল না। সৌন্দর্য্যে মহত্ত্বে পরিপূর্ণ অনেক কিছুই রচিত হইয়াছিল। ফলতঃ, বলা যাইতে পারে জাঙ্গাল ভাঙ্গিয়া সরস্বতীর মুক্তধারা তখন বিপুল উচ্ছ্বাসে ছুটিয়া চলিয়াছিল। তখনকার কাজে কেবলই ছিল যে স্থূল অনুকরণের ছাপ, তাহা নয়। সত্য বটে, বিদেশীর প্রভাব সর্ব্বত্রই চক্ষু চাহিলেই নজরে পড়িত, কিন্তু দেশের প্রাণ তাহাকে আত্মসাৎ করিয়া লইতেছিল, কেবলই অবশ হইয়া তাহার দ্বারা চালিত হইতেছিল না।

৭৭