কিন্তু এই যুগও অনেকদিন পার হইয়া গিয়াছে। তাহার যে কাজ করিবার তাহা সে করিয়াছে। তাহার সাহিত্য-সৃষ্টি এখন অতীত ইতিহাসের মধ্যে আপন ন্যায্য স্থান করিয়া লইয়াছে। এই যুগের স্রষ্টাদের মধ্যে প্রধান হইতেছেন দুই জন। এক জনের ভিতর দিয়া বাঙ্গলার গদ্য সাহিত্য পাইয়াছে চরম স্ফূর্তি— এক দিকে তাঁহার চিন্তার ধারা যেমন ছিল নূতন সম্পূর্ণ নিজস্ব, অপর দিকে তেমনি ছিলেন তিনি রসজ্ঞ সিদ্ধ রূপদক্ষ। আর একজন যিনি তিনি এই যুগের শেষ আলোকবর্তিক। যখন জ্বলিয়া নিবিয়া যাইবে যাইবে করিতেছে তখন আসিয়া দেখা দিলেন; তিনি কিন্তু সেই শেষের স্ফুলিঙ্গ হইতে আবার নূতন একটা সুর, কবিত্বের একটা গভীরতর মূর্ছনা জাগাইয়া ধরিলেন, বাঙ্গলার যে সত্যকার প্রাণ তাহাকেই মূর্ত্ত করিয়া তুলিলেন। বঙ্কিমের যে কাজ তাহা এখন অতীতের বস্তু। তাঁহার কাজ বাঙ্গলার নবীন মনের অন্তর্ভুক্ত হইয়া গিয়াছে— বাঙ্গলার এই নবীন মন তাঁহারই প্রভাবে যতখানি গড়িয়া উঠিয়াছে আর কিছুতে তাহা হয় নাই। রবীন্দ্রনাথ এখনও বর্ত্তমানের অনেকখানি ধরিয়া চালাইতেছেন— তবুও বর্ত্তমানকে ছাড়াইয়া ভবিষ্যতের পথও তিনি
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৭৯