বাহুল্য, এ আন্দোলনের পিছনেও গভীর কোন প্রেরণা নাই—সেখানে আছে বুদ্ধির খোসখেয়াল আর না হয় হৃদয়াবেগের বিলাস—যে সব সত্য যে সব শক্তি বাস্তবকে আজ ধরিয়া গড়িতেছে তাহাদের ছায়া পর্যন্ত উহার মধ্যে পাই না। তবে আস্তে আস্তে দেশবাসীর চেতনায় এই কথা ক্রমেই স্পষ্ট হইয়া উঠিতেছে যে আমাদের সামাজিক নীতি, সামাজিক প্রতিষ্ঠান সব নূতন করিয়া ঢালিয়া সাজিতে হইবেই হইবে এবং সেই জন্য দেশকে নিজের অন্তরের সত্যে প্রবুদ্ধ হইতে হইবে,—যে সব সত্য তাহারই নিজের শিক্ষাদীক্ষার অবশ্যম্ভাবী সিদ্ধান্ত সে সকল রহিয়াছে গভীরতর স্তরে অব্যক্ত অবস্থায়, কেবল সামর্থ্যের ও সুবিধার অভাবে তাহাদিগকে সে জাগ্রতে ফুটাইয়া তুলিতে পারিতেছে না। বোধ হয়, ভারতের জাতীয় জীবনে যখন আসিবে আরও মুক্ত একটা অবস্থা, তখনই তাহার নবজন্মের পূর্ণতর শক্তি লোকের সামাজিক মন ও কর্ম্মের উপর জাগ্রত প্রভাব বিস্তার করিতে পারিবে।
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৮৫