পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

আমরা এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিষ্কৃতি পাইতেছি না। এ কথা কখনও অস্বীকার করা যাইবে না যে, ভারতের সত্য সত্যই এমন একটা সঙ্কটের কাল আসিয়াছিল—তাহা খুব বেশী দিন স্থায়ী হয় নাই সত্য বটে; কিন্তু সেই অল্প সময়ের মধ্যেই কি দারুণ ক্ষতি করিয়া দিয়াছে!—যখন জীবনের সে দীপ্ত বহ্নি নির্ব্বাপিতপ্রায় হইয়া গিয়াছিল, এমন কি, একটা মুহূর্ত্ত আসিয়াছিল, যখন বোধ হইতেছিল এই বুঝি ভারতের শেষ, এইখানেই বুঝি ভারতের ইতি। তখনই রাষ্ট্রে তাহার দেখা দিয়াছিল সেই বিশৃঙ্খলতা, অরাজকতা, যাহার কল্যাণে ইউরোপের ভবঘুরে সকলে এখানে আস্তানা খুঁজিয়া পাইল। তখনই অন্তরে তাহার আসিয়া পড়িতে লাগিল ঘোর তামসিকতা, যাহার কবলে কবলিত অস্তমিত হইয়া চলিল ধর্ম্মে, শিল্প-কলায়, তাহার সকল স্জন-প্রতিভা। দর্শন, বিজ্ঞান, বুদ্ধির সৃষ্টি বহু পূর্ব্বেই লোপ পাইয়াছিল—যাহা কিছু বা ছিল, তাহা পাইয়া বসিয়াছিল বাক্‌সর্ব্বস্ব পাণ্ডিত্যের জড় স্থাবরত্ব। অধঃপতনের চরম সীমার লক্ষণ সব সর্ব্বত্র তখন ফুটিয়া উঠিয়াছিল। ইহাকেই ভারত বুঝি নাম দিয়াছে সেই যুগসন্ধি বা প্রলয়—যেখানে একটা সৃষ্টির শেষ, যাহার পরে আবার নূতন সৃষ্টির আরম্ভ। এই যে