পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

পথ, প্রত্যেকের রহিয়াছে নিজের নিজের পৃথক্ ধরণধারণ, নিয়মকানুন। এই সঙ্গে আরও একটি সন্দেহ আমাদের উপর আসিয়া পড়ে যে, আধ্যাত্মিকতার নামে হয়ত বা আমরা বাস্তব হইতে কর্ম্মজীবন হইতে ফিরাইয়া লইয়া ভারতকে দিতে চাহিতেছি একটা ভাবুকতার, ধ্যানপরতার আদর্শ। ভারতকে আজ শক্তিমান্ কর্ম্মঠ সংহত ‘নেশন’ হইয়া উঠিতে হইবে,— বর্ত্তমান জগতের সঙ্ঘর্ষের মধ্যে বাঁচিয়া বর্ত্তিয়া থাকিতে হইলে তাহাকে বিচারবুদ্ধির আধুনিকতার পথেই অগ্রসর হইতে হইবে; কিন্তু তৎপরিবর্ত্তে আমরা কি পুরাকালের পুরাতন ধর্ম্মান্ধতাকে ডাকিয়া আনিতেছি না, যুক্তিহীন কুসংস্কার সব শিক্ষা দিয়া ভারতকে আবার অজ্ঞানের যুগে টানিয়া লইতেছি না? কথাটা তাহা হইলে আরও পরিষ্কার করিয়া আমরা বুঝাইতে চেষ্টা করিব—আধ্যাত্মিকতাকে ধরিয়া ভারতের নবজীবন গড়িয়া তুলিতে হইবে, আমাদের এই সুত্রটির প্রকৃত অর্থ কি।

 কিন্তু আগে আমাদের সূত্রটির অর্থ কি যে নয়, সেই কথাটাই বলিব। বলা বাহুল্য, সূত্রটি এমন শিক্ষা দেয় না যে, জাগতিক জীবনকে একটা ক্ষণিকের মোহরূপে মনে করিতে হইবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের

৮৮