সকলকেই মুনি সন্ন্যাসী হইয়া পড়িতে হইবে, মঠের, গিরিগুহার, পর্ব্বতশিখরের দিকে দৃষ্টি রাখিয়াই সামাজিক জীবনের সমস্ত বিধিব্যবস্থা বাঁধিতে হইবে, মানবজাতির সমবেত উন্নতি অথবা ইহলোকের সংস্পর্শে আসে, এমন কোন কিছু লক্ষ্য সামাজিক জীবনের থাকিতে পারিবে না, জীবনের আদর্শ হইবে স্থির নিশ্চল স্থাণুত্বলাভ করা। এই ধরণের প্রেরণা ভারতের মনে এক সময় প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল, সন্দেহ নাই—কিন্তু তাই বলিয়া ইহা ছাড়া আর কোন প্রেরণা ভারতের যে ছিল না, তাহা নয়। তারপর, আধ্যাত্মিকতা বলিতে এমন বুঝায় না যে, কোন একটা বিশেষ ধর্মসম্প্রদায়ের যে সব সঙ্কীর্ণ সিদ্ধান্ত, বিধান, অনুষ্ঠান, তাহারই ছাঁচে ফেলিয়া গড়িয়া তুলিতে হইবে একটা সমগ্র জাতীয় সত্তা। এই প্রয়াস পূর্ব্বকালে অনেকবার হইয়াছে বটে এবং বর্ত্তমানেও পুরাতন সংস্কার যেখানে যেখানে নির্ম্মূল হইতে পারে নাই, সেখানে সেখানে চলিতেছে। কিন্তু যে দেশ এত বিভিন্ন বিরুদ্ধ ধর্ম্মমতে পরিপূর্ণ, যাহার মধ্যে আশ্রয় পাইয়াছে পৃথিবীর তিনটি প্রধান ধর্ম্মের ধারা এবং প্রতি মুহূর্ত্তেই যেখানে নূতন নূতন শাখা উপশাখা সব জন্মগ্রহণ করিতেছে, সেই দেশে অন্ততঃ এই ধরণের কোন
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৮৯