পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

আধ্যাত্মিকতা তাহা দেহ প্রাণ মনকে যেন হীন অকিঞ্চিৎকর বলিয়া বিবেচনা করে না। বরং এই সমস্তকে বিশেষ প্রয়োজনীয়, বিশেষ মূল্যবান বলিয়াই ধরিতে হইবে—কারণ, এই সকলের ভিতর দিয়া, এই সকলকে যন্ত্র করিয়া তবে মানুষের অধ্যাত্মজীবন লীলায়িত হইয়া উঠে। ভারতের যে প্রাচীন দীক্ষা, তাহা পূর্ব্বতন গ্রীক বা আধুনিক বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তের মতনই—তবে ভিন্ন লক্ষ্যে ও মহত্তর উদ্দেশ্যে—জোর দিয়া আসিয়াছে দেহ, প্রাণ ও মনের স্বাস্থ্য শক্তি উন্নতির উপরে। তাই যাহা কিছু দিয়া এই অঙ্গ কয়টির পূর্ণতা সাধন হইতে পারে, তাহারই অবাধ অনুশীলনের পথ সে করিয়া দিয়াছে। মস্তিষ্কের চর্চ্চা, দর্শন বিজ্ঞানের আলোচনা, রসবোধের তৃপ্তি, ছোট বড় সকল রকম শিল্পকলা, শরীরের স্বাস্থ্য ও বল, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য, সমস্ত জাতিটিরই সমৃদ্ধি, স্বচ্ছলতা, পারিপাট্য, তাহার ক্ষাত্রশক্তি, রাষ্ট্রীয় শক্তি, সামাজিক শক্তি—সকল দিকেই ভারত সমান মনোযোগ দিয়া আসিয়াছে। আজকাল যেমন আমাদিগকে শিক্ষা দিবার চেষ্টা হয়, সে রকম কোন দিনই ভারত দারিদ্র্যকে একটা জাতীয় আদর্শ বা সাধনারূপে গ্রহণ করে নাই, কোন

৯১