পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

দিনই এমন বিধান সে দেয় নাই যে নগ্নতা শ্রীহীনতাই হইতেছে আধ্যাত্মিকতার একমাত্র অঙ্গরাগ। প্রাচীন ভারতের লক্ষ্য ছিল উর্দ্ধে, কিন্তু নীচের প্রতিষ্ঠাকেও সে দৃঢ় ও বিস্তৃত করিয়া গড়িয়া দিয়াছিল, এবং যে সকল যন্ত্রপাতি উপকরণ দিয়া গোড়ার বাঁধ, সেগুলির উপরও বিশেষ যত্নই সে দিয়া আসিয়াছে। নবীন ভারতকেও এই সাধনাই করিতে হইবে, তবে নূতন নূতন পথে, নবতর বৃহত্তর সব ভাবের প্রেরণায়; আর তাহার যন্ত্রাদিকেও আধুনিক জগতের যে জটিলতা তদনুরূপ করিয়া ঢালিতে হইবে। শুধু তাই নয়, তাহার কর্ম্মের প্রয়াসের প্রসারতা, তাহার মনোবৃত্তির বৈচিত্র্য প্রাচীন ভারতের অপেক্ষা অল্পতর হইবে না, বরং আরও বিপুলতর হইয়াই দেখা দিবে। আধ্যাত্মিকতাকে কেবল ‘নেতি নেতি’ হইতেই হইবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই; তাহার মধ্যে আবার সকল জিনিষই স্থান পাইতে পারে —আর এইটিই আধ্যাত্মিকতার পূর্ণ রূপ।

 তবুও বলিতে হইবে যে জগৎকে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখা আর শুধু জড়ের স্তর বা মনের স্তর হইতে দেখা এক জিনিষ নয়—উভয়ের মধ্যে আছে বিপুল পার্থক্য। আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে আমরা দেখি দেহ প্রাণ আর মন

৯২