পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

মানুষের লক্ষ্য নয়, উপায় মাত্র; আর উপায়ের মধ্যেও তাহা শ্রেষ্ঠ বা চরম নয়; দেহ প্রাণ মন লইয়া হইতেছে আধারের অতি বাহিরকার যন্ত্র, মানুষের সমস্ত সত্তা ইহারই মধ্যে নিঃশেষ হয় নাই। আধ্যাত্মিক দৃষ্টি দেখাইয়া দেয় যে সকল সসীম জিনিষের পিছনে রহিয়াছে অসীম, এই অসীমের কষ্টিপাথরেই ধরিয়া সে নিরূপণ করে সব সসীমের মূল্য। অসীমের অসম্পূর্ণ খণ্ড খণ্ড রূপায়ন হইতেছে সসীম, সসীমের নিত্য প্রয়াস অসীমকে আরও যথাযথ প্রকাশ করিয়া ধরিতে। মানুষের জগতের পশ্চাতে, ব্যক্ত বাস্তব অপেক্ষা রহিয়াছে যে একট! মহত্তর বাস্তব, আধ্যাত্মিক দৃষ্টি কেবল তাহাই উদ্ঘাটন করিতেছে না; কিন্তু মানুষের, জগতের অন্তরে, অন্তরাত্মার মধ্যে সে দেখিতেছে পুরুষকে, এই পুরুষকেই সকলের উপরে সে আসন দিয়াছে, মানুষের আর সকল অঙ্গকে নির্দ্দেশ দিতেছে যে প্রকারে হউক না কেন এই দিব্য সত্তাকে প্রকাশ করিয়া মূর্ত্ত করিয়া ধরিতে। এই আত্মা, এই পুরুষ, এই দিব্যসত্তাকেই যেন মানুষ জগতে সকল বাহ্যরূপের অন্তরালে প্রতিনিয়ত দেখিতে শুনিতে চেষ্টা করে, নিজের জীবন মন যেন ইহারই সহিত একীভূত করিয়া

৯৩