পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

ধরে, ইহারই মধ্যে যেন সকল মানুষের সহিত একত্ব অনুভব করে। ফলে, আমাদের সাধারণ নিত্যনৈমিত্তিক দৃষ্টিকে যে অনেকখানি বদলাইয়াই ধরিতে হইবে, তাহাতেও সন্দেহ নাই। মানবজীবনের সকল লক্ষ্যকেই ধরিয়া রাখিলেও, তাহাদের দিতে হইবে নূতন একটা অর্থ, নূতন একটা সার্থকতা।

 আমরা চাহি দেহের স্বাস্থ্য ও সামর্থ্য—কিন্তু কোন্ উদ্দেশ্যে? বলা যাইতে পারে, স্বাস্থ্য ও সামর্থ্যের জন্যই জিনিষটা স্পৃহণীয়, তাই। অথবা বলা যাইতে পারে, দীর্ঘজীবনের জন্য, মনে প্রাণে চিত্তে যাহাতে সম্যক্ ভোগ করিতে পারি, তাহার একটা পাকা বনিয়াদের জন্য। নিরাময় সবল দেহের জন্যই চাই নিরাময় সবল দেহ—এ কথা এক হিসাবে সত্য; কিন্তু এই হিসাবে যে দেহও হইতেছে আত্মার প্রকাশ, দেহেরও চাই পরিপূর্ণতা, মানুষের যে অখণ্ড জীবনযাত্রা তাহারই অন্তর্ভূক্ত দেহের সার্থকতা। তা ছাড়া, আরও সত্য হইতেছে এই কথা যে, দেহকে প্রতিষ্ঠা করিয়াই ঊর্দ্ধে উঠিয়া চলিতে হয় মানুষের মধ্যে দিব্য পুরুষের অনুসন্ধানে—সেই জন্যই ত বলা হইয়াছে, ‘শরীরং খুলু ধর্ম্মসাধন’, ধর্ম্মের সাধনা করিতে হইলে অর্থাৎ যে

৯৪