পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

যায় না, তাহা পাওয়া যায় অপরোক্ষ অনুভূতির, অন্তরের উপলব্ধির দ্বারা। দর্শনের কাজ হইতেছে যত রকম উপায়ে যত রকম জ্ঞান পাওয়া যায়, তাহা সাজাইয়া গুছাইয়া ধরা এবং শেষে সেই সকল জ্ঞান একটা সমন্বয়ের সূত্রে পরম সত্যের সহিত—একম্ অদ্বিতীয়ম্ যে বিশ্বজনীন বস্তু—তাহার সহিত মিলাইয়া ধরা। ফলতঃ, দর্শনের মূল্য ও সার্থকতা ততখানিই, যতখানি তাহা আধ্যাত্মিক উপলব্ধির প্রতিষ্ঠা গড়িয়া দিতে পারে, যতখানি তাহা মানুষকে মানবীসত্তা হইতে দিব্য ভাগবত স্বরূপে তুলিয়া ধরিতে সাহায্য করে। এইভাবে বিজ্ঞানও তাহার জগতের জ্ঞান লইয়া বিশ্বের মধ্যে বিশ্বের অধিষ্ঠাতৃ পুরুষেরই কর্ম্মধারাকে ফুটাইয়া ফলাইয়া ধরে। বিজ্ঞান অর্থ যে শুধু স্থূলের জ্ঞান, স্থূলজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ অথবা জড় ও জড়শক্তিকে ধরিয়া জীবনীশক্তির, মানুষের, মানুষের মনের বিশ্লেষণ ব্যাখ্যাই হইতে হইবে এমন কোন কথা নাই। আধ্যাত্মিক শিক্ষাদীক্ষা বিজ্ঞানের পরিধিকে আরও বাড়াইয়া দিবে, গবেষণার জন্য নূতন নূতন ক্ষেত্র খুলিয়া ধরিবে। প্রাচীনকালে ছিল যে এক সূক্ষ্ম জগতের বিজ্ঞান, যে সব বিজ্ঞান অন্তরাত্মাকে পুরুষকে মূল সত্য রূপে ধরিয়া চলিত; মনের, এমন কি

৯৭