পাতা:ভারতের মাটিতে.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের বুড়ে পণ্ডিত যাতায়াত করতেন হাতে থাকতে ছড়ি, বলতেন—কি রে, তোরা কি গরু-ভেড়ার দলে থেকে পেকে ওদেরও অধম হলি ! পথ চিন, মামুৰ হে। ] আহা, কী দিনইনা ছিল তখন । বিশুটাও বোধ হয় নেই । আজো তার দোকানের কথা মনে পড়ে ছ'পয়সায় ঘুড়ি কিনতাম, লাটাই কিনতাম ভারী মিষ্টি লোক ছিল বিশুদ ; কী মজবুত সুতাইনা রাখতো, তার রোজ রোজ চানাচুর তো চেয়েই নিতাম আমরা । আহা, দাওয়ায় একটা টুলের ওপর বসে থাকতে বিশুদা কতদিন কত গল্প করতো, আমি, মদন৷ ফেক ঘিষু, রমজান হঁ। করে তাকিয়ে থাকতাম ওর মুখের দিকে— ও বলতে, ভোর লেখা-পড়া শিখ, ইংরেজ মামাদের লেখতে পড়তে দেয়নি, ওদের অত্যাচারে আমাদের পোষা বেড়াল ও বের হতন ঘর থেকে । বুঝলি, ওরা আমাদের রক্ত দিয়ে রঙ তৈরী করতো, ওই রঙে দড়ি রাঙাতো, ওই দড়িতে আমাদের ঝুলাতো—আর বুঝলি । মুখে একটা কালো কাপড় ঢাকা দিত আমরা চীৎকার করতাম— ওরা আরো পাক ঘুরাতে৷ তারপর বুঝলি, তারপরযা, কি সব বলভো বিশুদা ছাই মাথার মুণ্ড, কিছুই বুঝতাম না তখন, আমরা শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতাম ভারতের মাটিতে--২৯