পর্য্যন্ত জয়ী হইয়াছিল এবং অন্য সমুদয়কে গ্রাস করিয়া লইয়াছিল। কিন্তু সেই সঙ্গেই ভারতের মনীষা নিজ মূল স্বানুভূতি ও আদর্শের প্রতি ঐকান্তিক নিষ্ঠাবশতঃ ভারতবাসীর প্রকৃতি অনুযায়ী কম্যুন্যাল স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তি বজায় রাখিয়াছিল, রাজতন্ত্রকে স্বেচ্ছাচারমূলক হইয়া উঠিতে বা তাহার নির্দ্দিষ্ট কার্য্যের গণ্ডী অতিক্রম করিতে দেয় নাই, এবং যাহাতে উহা সমাজ-জীবনকে প্রাণহীন যন্ত্রবৎ করিয়া না তোলে সে বিষয়ে বাধা দিতে কৃতকার্য্য হইয়াছিল। কেবল সুদীর্ঘ অবনতির যুগেই আমরা দেখিতে পাই যে, রাজকীয় প্রভুত্ব এবং জনসাধারণের স্ব-নিয়ন্ত্রণশীল কম্যুন্যাল জীবন এতদুভয়ের মধ্যস্থস্বরূপ যে-সব স্বাধীন অনুষ্ঠান ছিল সেগুলি হয় ক্রমশঃ লোপের দিকে অগ্রসর হইয়াছে অথবা তাহাদের পূর্ব্বতন শক্তি ও তেজস্বিতা অনেকখানি হারাইয়া ফেলিয়াছে, এবং আমলাতন্ত্রমূলক ব্যক্তিগত শাসনের ও কেন্দ্রীয় গবর্ণমেণ্টের অত্যধিক আধিপত্যের দোষগুলি একে একে দেখা দিতে আরম্ভ করিয়াছে। যত দিন ভারতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থার প্রাচীন রীতিনীতিগুলির স্মৃতি বজায় ছিল এবং যে-পরিমাণে সেগুলি সজীব ও কার্য্যকরী ছিল, তত দিন এই সব দোষ এখানে-সেখানে ক্ষণস্থায়িভাবে দেখিতে পাওয়া যাইত, অথবা সেগুলি অতিমাত্রায় বাড়িয়া উঠিতে পারে নাই। পরে যখন একদিকে
পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা