তোলা যাইতে পারে, পরে আমি সে-সমুদয় আলোচনা করিব।
কিন্তু রাষ্ট্রনীতির আর একটা দিক আছে যাহাতে একথা বলা যাইতে পারে যে, ভারতের রাষ্ট্রনীতিক মনীষা অকৃতকার্য্যতা ছাড়া আর কিছুই দেখাইতে সমর্থ হয় নাই। উহা যে-ব্যবস্থার বিকাশ করিয়াছিল তাহা দৃঢ়তায় ও শাসনবিষয়ক কার্য্যপটুতায় এবং প্রাচীন অবস্থানুযায়ী সমষ্টিজীবনের শৃঙ্খলা ও স্বাধীনতা বিধানে এবং জনসাধারণের কল্যানবিধানে প্রশংসনীয় হইতে পারে, কিন্তু যদিই বা ভারতের অন্তর্গত বহু জনসমাজ প্রত্যেকে পৃথকভাবে স্বায়ত্ত্বশাসনশীল ছিল, সুশাসিত ও সমৃদ্ধিসম্পন্নছিল, এবং সমগ্র দেশে এক উচ্চবিকশিত সভ্যতা ও কৃষ্টি নিশ্চিতভাবে ক্রিয়া করিতে পারিত, তথাপি উক্ত ব্যবস্থা ভারতের জাতীয় ও রাষ্ট্রনীতিক ঐক্যসাধন করিতে কৃতকার্য্য হয় নাই, এবং শেষ পর্য্যন্ত বিদেশীর আক্রমণ হইতে দেশকে রক্ষা করিতে, জাতীয় অনুষ্ঠানগুলির ধ্বংস নিবারণ করিতে এবং বহুকালব্যাপী পরাধীনতা নিবারণ করিতে কৃতকার্য্য হয় নাই। কোন সমাজের রাষ্ট্রনীতিক ব্যবস্থার বিচার করিতে হইলে সর্ব্বপ্রথমেই অবশ্য দেখিতে হয় যে, উহা জাতিকে দৃঢ়প্রতিষ্ঠা, সমৃদ্ধি, অভ্যন্তরীন স্বাধীনতা ও শৃঙ্খলা দিতে কতখানি সমর্থ হইয়াছে, কিন্তু আবার ইহাও দেখিতে হয়