পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

যে, অন্যান্য রাষ্ট্র হইতে নিরাপদ থাকিবার কিরূপ ব্যবস্থা সে করিয়াছে, বহিঃশত্রু ও প্রতিদ্বন্দ্বীগণকে আক্রমণ করিতে এবং তাহাদের আক্রমণে আত্মরক্ষা করিতে প্রয়োজনীয় ঐক্য ও শক্তি কতদূর বিকাশ করিয়াছে। ইহা যে দেখিতে হয় সেটা হয় ত মানবসমাজের পক্ষে নিছক প্রশংসার কথা নহে, যে-জাতি বা দেশ এরূপ রাষ্ট্রনীতিক শক্তিতে হীন, তাহার বিজেতাদের অপেক্ষা কৃষ্টি ও সভ্যতাতে সে অনেক উন্নত হইতে পারে, এবং কৃতী সমরকুশল রাষ্ট্র, আক্রমণশীল জাতি, পরদেশশোষণকারী সাম্রাজ্য অপেক্ষা মানবজাতির প্রগতিতে অনেক বেশীই সাহায্য করিয়া থাকিতে পারে, প্রাচীন গ্রীক ও মধ্যযুগের ইতালীয়নেরা তাহার দৃষ্টান্ত। কিন্তু মানুষের জীবন এখনও প্রধানতঃ রহিয়াছে প্রাণশক্তির (vital) ক্ষেত্রে, এক্ষেত্রে আত্ম-বিস্তার, ভোগদখল, আক্রমণ, পরস্পরকে গ্রাস করিবার এবং অপরের উপর আধিপত্য করিবার জন্য দ্বন্দ, এই সবের প্রেরণাই সমধিক বলবান, কারণ এই সবই হইতেছে প্রাণশক্তির প্রাথমিক ধর্ম্ম; অতএব যে সমষ্টিগত মনীষা ও চৈতন্য আক্রমণ ও আত্মরক্ষায় সর্ব্বদা অসামর্থ্যের পরিচয় দেয়, এবং নিজের নিরাপদতার জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীভূত ও কার্য্যকরী ঐক্যের বিধান না করে, সে রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে প্রথমশ্রেণীতে স্থান পাইবার যোগ্য নহে সে