জীবন্ত রাষ্ট্রশরীরের মধ্যে সকলের ঐক্য সাধন করা। এমন এক রাষ্ট্রসংগঠন আবিষ্কার করা প্রয়োজন ছিল যাহা তাহার সকল অঙ্গের শান্তি ও ঐক্য রক্ষা করিবে, বাহ্য আক্রমণ হইতে নিরাপদতার সুব্যবস্থা করিবে, বা ভারতীয় সভ্যতা ও কৃষ্টির আত্মা ও শরীরের স্বচ্ছন্দ ক্রিয়া ও ক্রমবিকাশকে ঐক্যে ও বৈচিত্র্যে, অঙ্গীভূত সকল সাম্প্রদায়িক ও স্থানীয় অনুষ্ঠানের অপ্রতিহত ও কর্ম্মময় জীবনে, সম্পূর্ণতা প্রদান করিবে, ধর্ম্মকে বিরাট ও সমগ্র আয়তনে কার্য্য করিতে দিবে।
ভারতের প্রাচীন মণীষা সমস্যাটিকে এই অর্থে ই বুঝিয়াছিল। পরবর্ত্তীকালের শাসনমূলক সাম্রাজ্য ইহাকে কেবল আংশিকভাবে গ্রহণ করে, কিন্তু তাহার ঝোঁক ছিল খুব ধীরে ধীরে এবং প্রায় অজ্ঞাতসারেই অধীনস্থ স্ব-তন্ত্র অনুষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা না হউক, অন্ততঃ তাহাদের শক্তিকে ক্ষীণ ও দুর্ব্বল করিয়া দেওয়া,—সকল কেন্দ্রীকরণের চেষ্টাতেই এইরূপ ঝোঁক অবশ্যাম্ভাবী। ইহার পরিণাম হইয়াছিল এই যে, যখনই কেন্দ্রীর শক্তিটি দুর্ব্বল হইয়া পড়িত, তখনই ভারতের জাতীয় জীবনের মূলতঃ প্রয়োজনীয় প্রাদেশিক স্বা-তন্ত্র্যের চিরন্তণ নীতি পুনরায় মাথা তুলিয়া উঠিয়া কৃত্রিমভাবে প্রতিষ্ঠিত ঐক্যকে ক্ষুণ্ণ করিয়া দিত; কিন্তু তাহার দ্বারা যাহা হওয়া উচিত ছিল, সমগ্র জাতীর জীবনের গভীর সামঞ্জস্যসাধনে এবং