পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

আধ্যাত্মিকতার দ্বারা সমর্থন করিয়াছিলেন, এবং এই আদর্শকে কার্য্যে পরিণত করা শক্তিশালী নরপতির পক্ষে ধর্ম্ম বলিয়া, রাজকীয় ও আধ্যাত্মিক কর্ত্তব্য বলিয়া নিরূপণ করিয়া দিয়াছিলেন। সে ধর্ম্ম তাহাকে তাহার অধীনতায় আগত জনসমূহের স্বাধীনতা নষ্ট করিতে দিত না, তাহাদের রাজবংশকে সিংহাসনচ্যুত বা ধ্বংস করিতে অথবা তাহাদের কর্ম্মচারিগণের পরিবর্ত্তে নিজের কর্ম্মচারী ও প্রতিনিধি নিয়োগ করিতে দিত না। তাহার কাজ ছিল এমন এক ঊর্দ্ধতন আধিপত্যের প্রতিষ্ঠা করা যাহা সামরিক শক্তিতে দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষা করিতে সমর্থ হইবে এবং প্রয়োজন হইলে দেশের সমস্ত শক্তিকে একত্র করিতে পারিবে। আর এই প্রাথমিক কর্ত্তব্যের সহিত আর এক আদর্শ যুক্ত হইয়াছিল,—এক প্রবল ঐক্যসাধক শক্তির অধীনে ভারতীয় ধর্ম্মের, ভারতের আধ্যাত্মিক, ধার্ম্মিক, নৈতিক ও সামাজিক কৃষ্টির যথাযথ ক্রিয়ার সংরক্ষণ ও পূর্ণবিকাশ।

 এই আদর্শের পূর্ণরূপটি আমরা দেখিতে পাই রামায়ণ ও মহাভারতে। মহাভারতে এইরূপই একটি সাম্রাজ্যস্থাপন চেষ্টার, ধর্ম্মরাজ্য স্থাপন চেষ্টার কাল্পনিক, অথবা হইতে পারে, ঐতিহাসিক কাহিনী। সেখানে আদর্শটিকে এমনই অবশ্যপালনীয় ও বহুজন-স্বীকৃত বলিয়া চিত্রিত করা হইয়াছে যে, শিশুপালের ন্যায় দুরন্ত রাজাও বশ্যতা স্বীকার-