পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

সমগ্র বিরাট দেশকে সমুদ্র পার হইতে আগত মুষ্টিমেয় বণিকের হস্তে তুলিয়া দিল। কিন্তু চরম উপসর্গগুলি যতই মন্থরগতিতে আসিয়া থাকুক, এবং প্রথম প্রথম সাম্রাজ্যটির রাষ্ট্রনীতিক মহত্ত্ব, দেশের সভ্যতায় অপূর্ব্ব শিক্ষাদীক্ষা ও শিল্পসম্পদ এবং পুনঃপুনঃ আধ্যাত্মিক অভ্যুত্থান, সেই সমুদয়কে যতই সংশোধিত ও নিবারিত করিয়া থাকুক, শেষ গুপ্ত রাজাগণের সময়ের মধ্যেই ভারত তাহার অধিবাসিবৃন্দের রাষ্ট্রনীতিক জীবনে তাহার সত্য মন ও অন্তরতম আত্মার স্বাভাবিক ও পূর্ণবিকাশ করিবার সম্ভাবনা হারাইয়া ফেলিয়াছিল।

 তবে যে প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার জন্য সাম্রাজ্যটি সৃষ্ট হইয়াছিল, ইতিমধ্যে তাহা সম্পূর্ণরূপে না হইলেও যথেষ্ট ভাবেই সিদ্ধ করিতে সে সমর্থ হইয়াছিল। সে প্রয়োজন ছিল ভারতের মাটি ও ভারতীয় সভ্যতাকে বববর জাতিগণের সেই বিরাট প্লাবনতুল্য উপদ্রব হইতে রক্ষা করা যাহা সকল প্রাচীন সুপ্রতিষ্ঠিত সভ্যতারই পরম বিপদ হইয়া দাঁড়াইয়াছিল, এবং যাহার বিরুদ্ধে উচ্চ-বিকশিত গ্রীকো-রোমান সভ্যতা এবং বিশাল ও শক্তিশালী রোমক সাম্রাজ্যও শেষ পর্য্যন্ত দাঁড়াইতে সক্ষম হয় নাই। সেই উপদ্রব টিউটন্‌, স্লাভ্, হূন ও শকগণের বিপুল বাহিনী সকল পশ্চিমে, পূর্ব্বে, দক্ষিণে ছড়াইয়া দিয়াছিল, বহু শতাব্দী ধরিয়া ভারতের দ্বারে পুনঃ