পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় ঐক্যসাধন সমস্যা
১২৫

বিদেশী শাসনের অধীনে নিশ্চেষ্ট, সম্মত, নিরুপায় হইয়া পড়িয়া থাকিত, সেইটাই হইত জাতির অন্তর্নিহিত এক মহাদৌর্ব্বল্যের নিঃসন্দেহ প্রমাণ; কিন্তু বস্তুতঃ ব্রিটিশ-শাসনই প্রথম বিদেশী শাসন একাদিক্রমে ভারতে আধিপত্য করিতেছে। প্রাচীন সভ্যতাটি মধ্য এশিয়া হইতে আগত ধর্ম্ম ও কৃষ্টির সহিত সম্মিলিত হইতে না পারিয়া তাহার সঞ্চাপনে ম্লান ও ক্ষুন্ন হইয়াছিল সন্দেহ নাই, কিন্তু সে চাপ সে কাটাইয়া উঠিতে সমর্থ হইয়াছিল, তাহার উপরে নানাদিক দিয়া নিজের প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল, এবং আমাদের সময় পর্য্যন্ত অবনত অবস্থাতে হইলেও জীবিত রহিয়াছে, পুনরভ্যুত্থানে সক্ষম রহিয়াছে। এই ভাবে সে যে শক্তি ও উৎকর্ষতার পরিচয় দিয়াছে, মানব সভ্যতার ইতিহাসে তাহা সুদুর্ল্লভ। আর রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে উচ্চশক্তিশালী রাজা, রাজনীতিবিদ্, যোদ্ধা ও শাসনকর্ত্তার অভ্যুত্থান করিতে সে কখনও বিরত হয় নাই। অবনতির যুগে তাহার রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা এমন পর্য্যাপ্ত ছিল না, এমন সংহত এবং দৃষ্টিতে ও কর্ম্মে তৎপর ছিল না, যাহাতে পাঠান, মোগল ও য়ুরোপীয়গণের আক্রমণকে নিবারিত করা যাইত, কিন্তু সে-সকল আঘাত কাটাইয়া উঠিতে এবং পুনরভ্যুত্থানের প্রত্যেক সুযোগ গ্রহণ করিতে উহা সমর্থ ছিল, রাণা সুঙ্গের নায়কতায় সাম্রাজ্যগঠনের