পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

হয় নাই, এবং শেষ পর্য্যন্ত ভারতের মনীষিগণ সংসারত্যাগ, কর্ম্মত্যাগ ও ব্যক্তিগত মুক্তির সাধনার দিকেই ঝুঁকিয়াছিলেন। অন্ততঃ পক্ষে ভারতের সভ্যতা কতকদূর বিকশিত হইয়া থামিয়া গিয়াছে, আর অগ্রসর হইতে পারে নাই, তাহার মধ্যে নানা ত্রুটি ও গ্লানি আসিয়া প্রবেশ করিয়াছে।

 ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগটা আজ বড়ই বেশী করিয়া বাজিতেছে; কারণ, বর্ত্তমান যুগের মানুষ, এমন কি, বর্ত্তমান যুগের শিক্ষিত মানুষও রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতিকেই জীবনের মধ্যে প্রধান স্থান দিতেছে। আধ্যাত্মিক ও মানসিক উৎকর্ষতার কেবল ততটুকুই আদর আছে, যতখানি তাহারা রাষ্ট্রনীতিক ও অর্থনীতিক জীবনের সাফল্যে সহায়তা করিতে পারে। প্রাচীন যুগের মানুষরা আধ্যাত্মিকতা, ধর্ম্ম, সাহিত্য, শিল্পকে যেমন একটা নিজস্ব মূল্য দিত এবং সেইগুলিকেই মানব-জীবনের শ্রেষ্ঠ জিনিষ বলিয়া গণ্য করিত, বর্ত্তমান মানুষ তাহা করিতে চাহে না। যদিও এই বর্ত্তমান বৈষয়িক মনোভাব মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নীচ ভোগপরায়ণ স্বার্থপর দ্বন্দ্বপ্রবণ করিয়া তুলিয়া সংসারে নানা দুঃখ ও অনর্থের সৃষ্টি করিতেছে এবং মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশের পরিপন্থী হইতেছে, তথাপি ইহার মধ্যে এই সত্যটুকু রহিয়াছে যে, যদিও কোন সভ্যতার গুণ বিচার