পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থার মূলনীতি ও স্বরূপ
৪৫

বিশৃঙ্খলায় পূর্ণ হইয়া উঠিবে, ধর্ম্ম লয়প্রাপ্ত হইবে (ইহাই কলিযুগ)। এইরূপ চরম গ্লানির অবস্থা উপস্থিত হইলে তখন বিপ্লবের রক্তরেখার ভিতর দিয়া মানবাত্মা আবার নিজেকে ফিরিয়া পায়, আবার অভিনবভাবে আত্মপ্রকাশ করিতে অগ্রসর হয়।

 অতএব রাজশক্তির, রাজা ও রাজ-পরিষদ রাষ্ট্রের অন্যান্য শাসক বিভাগের, প্রধান কাজ ছিল সমাজ-জীবনের স্বাভাবিক বিকাশকে অক্ষুণ্ণ রাখিতে সাহায্য করা; রাজশক্তি ছিল ধর্ম্মের পালক ও প্রয়োগকর্ত্তা। সমাজেরই কার্য্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল মানুষের জীবনধারণ ও বিকাশের প্রয়োজনগুলি সিদ্ধ করা, ভোগসুখে মানুষের যে স্বাভাবিক দাবী আছে, সেই দাবী যথাযথভাবে পূর্ণ করা। তবে এই সকল প্রয়োজন ও ভোগের নিয়মিত মাত্রা ছিল এবং সে সব নৈতিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক ধর্ম্মের অনুবর্ত্তী ছিল। সমাজ-রাষ্ট্র শরীরের (Socio-political body) সকল অবয়ব ও সকল সঙ্ঘের আপন আপন ধর্ম্ম ছিল, সে ধর্ম্ম তাহাদের স্বভাব, তাহাদের স্থান, এবং সমগ্র সমাজ-শরীরের সহিত তাহাদের সম্বন্ধের দ্বারা নির্ণীত হইত। প্রত্যেকে যাহাতে স্বাধীন ও যথাযথভাবে আপন আপন ধর্ম্ম অনুসরণ করিতে পারে, সে সুযোগ ও সুবিধা করিয়া দিতে হইত, নিজেদের