পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

সীমার মধ্যে আপন আপন স্বভাব অনুসারে কর্ম্ম করিতে সকলকে স্বাধীনতা দিতে হইত; কিন্তু আবার সেই সঙ্গে ইহাও দেখিতে হইত, যেন তাহারা নিজেদের, গণ্ডী অতিক্রম না করে, অপরের সীমানায় অনধিকারপ্রবেশ না করে, নিজেদের সত্য পন্থা হইতে বিচ্যুত হইয়া না পড়ে, যথোচিত মাত্রা ছাড়িয়া না যায়। ইহাই ছিল সর্ব্বোচ্চ রাজশক্তির কার্য্য, সভার সাহায্যে সপরিষদ রাজার কার্য্য। জাতি, ধর্ম্মসম্প্রদায়, শ্রমিকসঙ্ঘ, গ্রাম, নগর প্রভৃতির স্বাধীন ক্রিয়ার উপর হস্তক্ষেপ করা বা দেশের জীবনের সহিত নিগূঢ়ভাবে সংশ্লিষ্ট আচার-ব্যবহারের ব্যতিক্রম করা বা তাহাদের স্বাধিকারসকল লুপ্ত করা রাজশক্তির কার্য্য ছিল না। কারণ, যথাযথভাবে সমাজধর্ম্মপালন করিবার নিমিত্ত এইগুলি অপরিহার্য্য বলিয়া এ সবের উপরে সকলের জন্মগত অধিকার স্বীকৃত হইত। রাজশক্তিকে যাহা করিতে হইত তাহা কেবল এই—সকলের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করিতে হইত, সকলের উপরে সাধারণভাবে শাসন রাখিতে হইত, বাহিরের আক্রমণ বা ভিতরের বিপ্লব হইতে সমাজ-জীবনকে রক্ষা করিতে হইত, দুষ্কর্ম্ম ও অশান্তি দমন করিতে হইত, সমাজের অর্থনীতিক ও শিল্পবিষয়ক কল্যাণের পথ পরিষ্কার করিতে সাধারণভাবে সাহায্য ও দেখাশুনা করিতে