পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

একমাত্র সর্ব্বেসর্ব্বা কর্ত্তা ছিল না; কারণ তাহার সকল অধিকার ও ক্ষমতায় সে ছিল ধর্ম্ম বা আইনের দ্বারা বাধ্য এবং জনগণের ইচ্ছার অধীন; এবং ভিতরের সমস্ত ব্যাপার পরিচালনায় সে ছিল সমাজ-রাষ্ট্র-শরীরের অন্যান্য অংশের সহিত একটি অংশীদার মাত্র।

 ভারতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থার ইহাই ছিল থিওরি এবং বাস্তবিক গঠনভঙ্গি,—সাম্প্রদায়িক (Communal) স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্যের জটিল অনুষ্ঠান, সকলের উপরে সামঞ্জস্য-সাধনের এক কর্ত্তা, রাজপুরুষ ও রাজশক্তি, তাহার যথেষ্ট কার্য্যকরী ক্ষমতা, পদমর্য্যাদা, কিন্তু সে সব যথাযোগ্য ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তাহা একই সঙ্গে অপরকে শাসন করিতেছে, আবার অপরের দ্বারা শাসিত হইতেছে, সকল বিভাগেই তাহাদিগকে সক্রিয় অংশীদাররূপে স্বীকার করিতেছে, সমাজ-জীবনের নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা কার্য্য তাহাদিগকেও ভাগ দিতেছে; এবং রাজা, জনসাধারণ এবং ইহার অন্তর্গত সমুদয় সম্প্রদায় সঙ্ঘ সকলেই সমানভাবে ধর্ম্মকে রক্ষা করিতে বাধ্য, ধর্ম্মের শৃঙ্খলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এতদ্ব্যতীত সমাজ-জীবনের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতির দিক ছিল ধর্ম্মের কেবল একটা অংশমাত্র, এবং সে অংশ ছিল অন্যান্য অংশের সহিত, আধ্যাত্মিক, নৈতিক এবং সমাজের উচ্চতর শিক্ষা-দীক্ষার পরিচায়ক আদর্শের