পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

অধিকার ছিল না। এই বিশিষ্টতাটি মনে না রাখিলে প্রাচীন চাতুর্ব্বর্ণ্য ব্যবস্থা বুঝা যায় না; কিন্তু পরবর্ত্তী কালের পরিণাম দর্শন করিয়া এবং প্রধানতঃ অধঃপতনের যুগের অবস্থা হইতে যে সব ভুল ধারণার উদ্ভব হইয়াছে, তাহাতে ঐ বিশিষ্টতাটিই ঢাকা পড়িয়া গিয়াছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে, ধর্ম্মশাস্ত্রের চর্চ্চা কিম্বা উচ্চতম অধ্যাত্মজ্ঞান ও সাধনার সুযোগ কোনটিই ব্রাহ্মণদের একচেটিয়া ছিল না। প্রথম প্রথম আমরা দেখিতে পাই, অধ্যাত্মবিষয়ে নেতৃত্ব লইয়া ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্ত্রিয়গণের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলিতেছে এবং ক্ষত্ত্রিয়রা বহুকাল ধরিয়াই পণ্ডিত ও যাজক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিপত্তি বজায় রাখিতে সমর্থ হইয়াছে। তবে ব্রাহ্মণেরা স্মার্ত্ত, শিক্ষক, পুরোহিতরূপে তাহাদের সমস্ত সময় ও শক্তি দর্শনচর্চ্চা, বিদ্যাচর্চ্চা, শাস্ত্রচর্চ্চাতে দিতে পারিত বলিয়া শেষ পর্য্যন্ত তাহারাই জয়ী হয় এবং নিজেদের প্রাধান্য জাঁকাইয়া তোলে। এইরূপে পুরোহিত ও ও পণ্ডিত-সম্প্রদায়ই হয় ধর্ম্মবিষয়ে প্রামাণিক ব্যক্তি, শাস্ত্র ও ঐতিহ্যের রক্ষক, বিধিবিধান ও শাস্ত্রের র‍্যাখ্যাতা, সকল বিদ্যার ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং সাধারণতঃ অন্যান্য শ্রেণীর ধর্ম্মগুরু; তাহাদের মধ্য হইতেই দেশের অধিকাংশ (যদিও কখনও সব নহে) দার্শনিক, মনীষী, সাহিত্যিক