পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

মর্য্যাদা, বিশিষ্ট শিক্ষাদীক্ষা, সামাজিক ও নৈতিক ধর্ম্মের বিশিষ্ট আদর্শ এবং সমাজমধ্যে নির্দ্দিষ্ট স্থান, কর্ত্তব্য ও অধিকার। আবার এই ব্যবস্থার দ্বারা আপনা হইতেই হইয়াছিল সুনির্দ্দিষ্ট কর্ম্মবিভাগ এবং নিশ্চিত অর্থনীতিক সংস্থিতি; প্রথম প্রথম বংশানুক্রম নীতিই অনুসৃত হইত, যদিও এ ক্ষেত্রেও নিয়মে যত কড়াকড়ি, কার্য্যতঃ তত কড়াকড়ি ছিল না; কিন্তু প্রভূত ধন অর্জ্জন করিবার এবং আপন আপন শ্রেণীতে প্রভাব-প্রতিপত্তির ফলে সমাজ, শাসনবিভাগ ও রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা অর্জ্জন করিবার সুযোগ ও অধিকার হইতে কেহই বঞ্চিত ছিল না। কারণ, আরও লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে, সমাজের এই উচ্চ-নীচ শ্রেণীবিভাগ ছিল বলিয়া সেই সঙ্গে রাজনীতির ক্ষেত্রেও সে বিভাগ ছিল না। দেশবাসীর রাজনীতিক অধিকারে চারিবর্ণেরই নিজ নিজ অংশ ছিল এবং সাধারণ সমিতি ও শাসনবিভাগে তাহাদের নিজ স্থান, নিজ নিজ প্রভাব ছিল। আরও একটা কথা এখানে উল্লেখ করা যাইতে পারে, আইনের চক্ষুতে এবং অন্ততঃ থিওরি (theory) বা মতবাদে প্রাচীন ভারতের নারীগণ অন্যান্য প্রাচীন জাতির ন্যায় রাজনীতিক অধিকারে বঞ্চিত ছিল না, যদিও নারীগণ সমাজে পুরুষের অধীন থাকায় এবং গৃহকর্ম্মেই সম্পূর্ণ ব্যাপৃত থাকায় এই সাম্য কেবলমাত্র