পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

জন্য, দাঁড়াইতে পারে নাই। তিব্বতের ন্যায় যাজকসম্প্রদায় কর্ত্তৃক রাষ্ট্রশাসন, অথবা ফ্রান্স, ইংলণ্ড ও য়ুরোপের অন্যান্য দেশে ভূস্বামী ও সামরিক অভিজাতশ্রেণী কর্ত্তৃক যে শাসন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া চলিয়াছে, অথবা প্রাচীন কার্থেজ ও ভিনিসে স্বল্পসংখ্যক বৈশ্যসম্প্রদায় কর্ত্তৃক যে শাসন প্রচলিত ছিল, এ প্রকারের শাসনতন্ত্র ভারতীয় প্রকৃতির বিরুদ্ধ। গোষ্ঠী, কুল ও বংশগুলি যখন বৃহত্তর জাতি ও রাজ্যে গড়িয়া উঠিতেছিল, এবং আধিপত্যের জন্য পরস্পরের সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত ছিল, সেই দেশব্যাপী যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব ও আত্মবিস্তারের সময়ে বড় বড় ক্ষত্ত্রিয়-বংশগুলি রাষ্ট্রনীতিক ক্ষেত্রে যে কতকটা প্রাধান্য লাভ করিত—মহাভারতে বর্ণিত ইতিহাস হইতে তাহার ইঙ্গিত পাওয়া যায়; মধ্যযুগে রাজপুতনায় আবার কুলপ্রথার আবির্ভাব হইলে কতকটা সেইরূপ ক্ষত্ত্রিয়-প্রাধান্যের পুনরভিনয় হয়; কিন্তু প্রাচীন ভারতে এটা ছিল কেবল একটা সাময়িক অবস্থামাত্র, আর ঐরূপ ক্ষত্ত্রিয়-প্রাধান্যের দরুন রাষ্ট্রনীতিক ও নাগরিক ব্যাপারে অন্যান্য শ্রেণীর প্রভাব দূর হইত না, অথবা বিভিন্ন কম্যুন্যাল মূল অনুষ্ঠানের স্বাধীন জীবনে কোনপ্রকার দমনমূলক অত্যাচার বা হস্তক্ষেপ করা হইত না।

 দেশের সমুদয় লোকই সাধারণ সমিতিগুলিতে কার্য্যতঃ