পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্রবিকাশের ধারা
৬৩

অন্ততঃ ভিতর হইতে বিপ্লব ও বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা নিবারণ করিতে সমর্থ হইয়াছিল।

 রাষ্ট্রের শীর্ষদেশ অধিকার করিয়া ছিল তিনটি শাসনবিষয়ক সংস্থান,—মন্ত্রণাপরিষদসহ রাজা, পৌর-সমিতি ও সাধারণ জানপদসমিতি। দেশের সকল শ্রেণীর লোক হইতেই পরিষদের সভ্য ও মন্ত্রিগণকে লওয়া হইত। পরিষদে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র প্রতিনিধিগণের নির্দ্দিষ্ট সংখ্যা ছিল। সংখ্যা হিসাবে বৈশ্যদেরই খুব প্রাধান্য ছিল, কিন্তু ইহাই ছিল ন্যায্য ব্যবহার, কারণ দেশের অধিবাসিগণের মধ্যে তাহারাই ছিল সংখ্যায় বেশী; কারণ, আর্য্যসমাজের প্রথমাবস্থায় বৈশ্য শ্রেণীর মধ্যে শুধু যে বণিক ও ব্যবসায়িগণই গণ্য হইত তাহা নহে, কারিকর, শিল্পী ও কৃষকরাও বৈশ্য শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল, অতএব তাহারাই ছিল জনসাধারণের অধিকাংশ; ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও শূদ্র শ্রেণীর বিকাশ অপেক্ষাকৃত পরে হইয়াছিল, এবং উপরের দুইটি শ্রেণীর প্রতিষ্ঠা ও প্রভাব যতই বেশী থাকুক, সংখ্যায় এই তিনটি শ্রেণীই খুব ন্যূন ছিল। পরে যখন বৌদ্ধ ধর্ম্মের প্রাদুর্ভাবে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং কাল্‌চারের অবনতির যুগে ব্রাহ্মণগণ সমাজকে পুনর্গঠিত করেন, তখন ভারতের অধিকাংশ স্থানে কৃষক, শিল্পী ও ক্ষুদ্র ব্যবসাদারগণ বেশীর ভাগই শূদ্র