পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্রবিকাশের ধারা
৬৫

করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন বলিয়াই মনে হয়। পরিষদসহ মন্ত্রিগণ অবাধ্য বা অযোগ্য নৃপতিকে সরাইয়া তাঁহার স্থলে তাঁহার বংশের অথবা নূতন কোন বংশের অন্য লোককে রাজসিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিতেন, এবং বস্তুতঃ বার বার এরূপ করিয়াছেন। এই ভাবেই কয়েকটি ইতিহাসবিখ্যাত পরিবর্ত্তন সংঘটিত হইয়াছিল, যথা—মৌর্য্যবংশের স্থানে সুঙ্গ-বংশের প্রতিষ্ঠা, পুনশ্চ কানোয়া সম্রাটবংশের সূচনা। রাষ্ট্রনীতিক মতবাদ অনুসারে এবং সচরাচর ব্যবহারেও রাজার সমস্ত কর্ম্মই ছিল মন্ত্রিগণের সাহায্যে সপারিষদ রাজার কর্ম্ম; তাহাদের মতানুযায়ী হইলে, এবং ধর্ম্মানুসারে যে কার্য্যের ভার রাজার উপর অর্পিত হইয়াছে সেই সব কার্য্যের সহায়ক হইলে, তবেই রাজার ব্যক্তিগত কর্ম্মসকল বৈধ বলিয়া সাব্যস্ত হইত। আবার যেমন পরিষদ ছিল যেন একটি ঘনীভূত শক্তিরূপ ও কর্ম্মকেন্দ্র, সুবিধামত পরিসরের মধ্যে চারি বর্ণের প্রতিনিধি, সমাজশরীরের সকল প্রধান অংশের সারসংগ্রহ, তেমনই রাজাও ছিলেন ঐ শক্তিকেন্দ্রেরই সক্রিয় মস্তকস্বরূপ, তাহা ছাড়া আর কিছুই নহে; স্বেচ্ছাচারতন্ত্রের ন্যায় তিনিই ষ্টেট বা তিনিই দেশের মালিক বা অনুগত প্রজাগণের উপর দায়িত্বহীন শাসনকর্ত্তা হইতে পারিতেন না। প্রজাদের আনুগত্য ছিল আইনের প্রতি, ধর্ম্মের প্রতি, তাহারা