পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

সপারিষদ রাজার আদেশসকল কেবল এই জন্যই পালন করিত যে, সেইগুলি ছিল ধর্ম্মের প্রয়োগ ও সংরক্ষণের উপায়স্বরূপ।

 তবে পরিষদের ন্যায় ক্ষুদ্র সংস্থানই যদি শাসনবিষয়ক একমাত্র অনুষ্ঠান হইত, তাহা হইলে সর্ব্বদা রাজা ও তাঁহার মন্ত্রিগণের অতি নিকট প্রভাবের অধীন থাকায় তাহা ক্রমে স্বেচ্ছাচারী শাসনের যন্ত্রে পর্য্যবসিত হইতে পারিত। কিন্তু ষ্টেটের মধ্যে আরও দুইটি শক্তিশালী অনুষ্ঠান ছিল। সেগুলি ছিল আরও বিস্তৃতভাবে সমাজ-জীবনের প্রতিনিধি। সাক্ষাৎ রাজকীয় প্রভাব হইতে মুক্ত থাকিয়া তাহারা আরও নিকট ও অন্তরঙ্গভাবে সমাজের মন প্রাণ ও ইচ্ছাকে প্রকাশ করিত, সর্ব্বদা বহুল পরিমাণে শাসনকার্য্য পরিচালন ও শাসনবিষয়ক আইনকানুন প্রণয়ন করিত, এবং সকল সময়েই রাজশক্তিকে সংযত করিয়া রাখিতে সমর্থ হইত। কারণ, তাহারা অসন্তুষ্ট হইলে অপ্রিয় বা অত্যাচারী রাজাকে দূর করিয়া দিতে পারিত, অথবা যতক্ষণ সে প্রজাগণের ইচ্ছার সম্মুখে মাথা নত না করিতেছে, ততক্ষণ তাহার শাসনকার্য্য অসম্ভব করিয়া তুলিতে পারিত। এই দুইটি মহৎ অনুষ্ঠান হইতেছে পৌরসমিতি ও জানপদ-সমিতি; ইহারা আপন আপন স্বতন্ত্র কার্য্যের জন্য স্বতন্ত্রভাবে বসিত, আবার সর্ব্ব-